কোভিড-১৯ মহামারির পরবর্তী সময়ে রোগের প্রকোপের কোনো শেষ নেই। কিন্তু মানুষ তবু প্রতিবিধানের চেষ্টা করে। চেষ্টা সে ছাড়ে না। তাই সমস্ত প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে সে এগিয়ে যায়। ২৯ সেপ্টেম্বর ‘ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে’ তেমনই একটি দিন, যেদিন মানুষ নতুন করে ভালো থাকার প্রতিজ্ঞা করে। হৃদযন্ত্রের সমস্যা জনজীবনে খুবই প্রকট। এর উপর করোনা-পরবর্তী সময়ে হৃদযন্ত্রের সমস্যা বেড়েছে অধিক হারে। যারা কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে হার্টের সমস্যা খুবই বেড়েছে। তাই তা রোধ করার জন্য ভাবনাচিন্তাও চলছে।
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ওবেসিটি, হাই কোলেস্টেরল ইত্যাদি নানা সমস্যায় জর্জরিত বিশ্বের তথা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। এসব সমস্যা রয়েছে তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও।
কিন্তু কেন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বাড়ছে এই রোগের প্রকোপ?
ইদানীং কমবয়সীদের মধ্যে করোনারি আর্টারি ডিজিসের প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু বয়স কম থাকায় যে ধরনের শারীরিক অসুবিধা ঘটে তার সঙ্গে আস্তে আস্তে মানিয়ে নিতে পারে শরীর। ফলে, তখন আর শারীরিক অসুস্থতাটা তত সংকটপূর্ণ দেখায় না। কিন্তু বয়স বাড়লে অসুবিধাটা বাড়ে। যদিও রোগটা দেখা দেওয়ার সময়ে রক্তপ্রবাহের একটা বিকল্প পথ রচিত হয়। ফলে রোগ বড় ধরনের হলেও প্রাথমিকভাবে বোঝা যায় না।
এটা বুঝতে গেলে নিয়মিত পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। কখন পরীক্ষা করাবেন?
-বুকে ব্যথা হলে
-বুকের উপর ভারী একটা কিছু চেপে আছে বলে যদি মনে হয়
-যদি মাড়িতে ব্যথা অনুভূত হয়
-ঘুমে ঘাম হতে থাকলে
-যদি ছোট ছোট শ্বাস পড়ে
-হাতের বাহুতে ব্যথা
-ক্লান্তি
অতএব, যখনই দেখবেন এই সব সমস্যা হচ্ছে, তখনই সচেতন হবেন এবং মেডিক্যাল টেস্ট করাবেন। পরামর্শ নিন চিকিৎসকের।