ঢাকা ত্যাগের আগে ব্রুনাইয়ের সুলতানকে বিমানবন্দরে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। সুলতানের এই সফরে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে ঢাকা-ব্রুনাই দারুসসালামের সঙ্গে তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি চুক্তি হয়েছে।
তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়াহ। সোমবার সকালে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। এ সময় বিমানবন্দরে সুলতানকে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এর আগে রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকা সফররত ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়াহ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।জনশক্তি রফতানি, বিমান যোগাযোগ, পেট্রোলিয়াম ও তরলীকৃত গ্যাস সরবরাহসহ পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে একটি চুক্তি ও ৩টি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ।এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিকেলে বাংলাদেশ ও ব্রুনাই দারুসসালামের মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচনায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন, অন্যদিকে সফররত ব্রুনাই দারুসসালাম সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জাদ্দীন ওয়াদ্দৌলাহ তার দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।বাংলাদেশ থেকে জনবল নিয়োগ, জ্বালানি ও বিমান চলাচল খাতে সহযোগিতাসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বেশ কিছু বিষয়ে কথা বলার কথা হয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে দুই নেতা বেশ কিছুক্ষণ একান্তে বৈঠক করেন।এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় চত্বরে ব্রুনাইয়ের সুলতান এসে পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রী টাইগার গেটে রাষ্ট্রীয় অতিথিকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
গত শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় (বাংলাদেশ সময়) সুলতানকে বহনকারী একটি বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ব্রুনাইয়ের সুলতানকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
পরে সুলতান বলকিয়াহ ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।