শরীয়তপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে (নড়িয়া উপজেলা) সদস্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী সহ-সভাপতি ও মোক্তারেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা শেখের জামাতা নড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন মোস্তফা ও ছেলে নড়িয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইউনুস শেখ। নির্বাচনে উভয় প্রার্থী পরাজিত হন। এরপর থেকেই দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে।
এরই জেরে বুধবার বিকেলে ভিপি মোস্তফা দলবল নিয়ে নড়িয়া বাজারে ইউনুস শেখ গ্রুপের ওপর হামলা করতে গেলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় ও দুই গ্রুপের লোকজন দেড় শতাধিক হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। বোমার বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে নড়িয়া শহরে। হামলায় দুই পুলিশসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ৪০ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় দেড় শতাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্য দুই গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হয়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টা চেষ্টা করে ৪০ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।বুধবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নড়িয়া বাজারের বড় ব্রিজ এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে ভিপি মামুন মোস্তফা বলেন, আমার কর্মীদের ওপর বাদশা শেখের লোকজন হামলা করে ৮ কর্মীকে আহত করেছে।অপরদিকে নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাদশা শেখ বলেন, সংঘর্ষের সময় আমি ও আমার ছেলে ইউনুছ মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম। আমার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে মিলনকে মারধর করা হয়। এর জেরে কিছু লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, বাদশা শেখের ছেলে ইউনুস ও জামাতা ভিপি মোস্তফার মধ্যে জেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে দুই পক্ষের হামলার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। নড়িয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।