রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন

শুল্ক ঝুঁকিতে পোশাক কারখানায় পুরোপুরি শুল্ক প্রত্যাহার না হলে অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার শুল্ক দিতে হবে

প্রতিনিধির / ২৮ বার
আপডেট : শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ৩৭ শতাংশ শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার না হলে দেশের প্রধান রপ্তানি খাতকে প্রতি মাসে গড়ে অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার শুল্ক দিতে হতে পারে। এতে প্রায় এক হাজার পোশাক কারখানা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তৈরি পোশাকশিল্পের নেতারা।

বিজিএমইএ নির্বাচন ২০২৫–২০২৭ উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর উত্তরা এলাকায় জায়ান্ট বিজনেস টাওয়ারে সম্মিলিত পরিষদের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার মো. আবুল কালাম বলেন, আমেরিকার বাজারে আমাদের রপ্তানিতে ৩৭ শতাংশ শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত হওয়া নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এ উদ্যোগ নেয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাই। তবে তিনি শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার না হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ৯০ দিনের সময়সীমা শেষে আমরা যেন আবারও এ শুল্কের মুখোমুখি না হই, সে লক্ষ্যে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা যেন সরাসরি মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেন।

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও সম্মিলিত পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী ফারুক হাসান বলেন, আমরা যে শিল্পের ধারাবাহিক সাফল্য দেখছি, তার পেছনে সম্মিলিত পরিষদের অবদান অপরিসীম। তিনি বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে উত্তরণে সময়সীমা অন্তত তিন বছর পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানান।

আমেরিকার বাজারে শুল্ক কাঠামো প্রসঙ্গে ফারুক হাসান বলেন, যদি শুল্ক আরোপ পারস্পরিক হতো, তবে আমাদের ওপর শুল্ক কম হতো। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাদের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে একতরফাভাবে শুল্কারোপ করেছে। আমরাও আমদানি বাড়াতে আগ্রহী, তবে এ বিষয়ে সরকার যেন কোনো অযাচিত প্রতিশ্রুতি না দেয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ