১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নৃশংস হামলায় পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যের সাথে মাত্র ১১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন শিশু রাসেল।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন আজ। ১৯৬৪ সালের এই দিনে ঢাকায় জন্ম নেন তিনি। রাসেলের সহপাঠী অধ্যাপক গীতাঞ্জলি বড়ুয়া বর্তমানে রাজধানীর আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যাণ্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার ভাষ্যে, সরকারপ্রধানের ছেলে হওয়ায় রাসেলকে বিশেষ কোনো সুবিধা ভোগ করতে দেখিনি কখনও।
১৯৬৪ সাল। স্বাধীকার আদায়ের আন্দোলনে উত্তাল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এমনই এক ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সময়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জন্মগ্রহণ করেন, পূর্ব বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে, শেখ রাসেল।
১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয় রাসেলকে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ায় অন্যদের মত তারও স্কুলে যাওয়া সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।স্বাধীন দেশে ১৯৭২ সালে স্কুলের কার্যক্রম শুরু হলে আবারও শুরু হয় রাসেলের শিক্ষাজীবন। রাসেলের সহপাঠী অধ্যাপক গীতাঞ্জলি বড়ুয়া বর্তমানে রাজধানীর আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যাণ্ড কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন।
রাসেলকে কেমন দেখেছেন তিনি এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অন্য শিক্ষার্থীদের মতই ক্লাসে আসত রাসেল। প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির ছেলে বলে বিশেষ কোনো সুবিধা ভোগ করতে দেখিনি কখনও। আমরা যে রকম টিফিন আনতাম, সেও সেসবই নিয়ে আসত টিফিনে। ছিল অন্যদের মতই দুরন্ত।
গীতাঞ্জলি বড়ুয়া আরও বলেন, সরকারপ্রধানের ছেলে হওয়ায় বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রীয় সফরে যেত রাসেল। কিন্তু সেসব নিয়ে সহপাঠীদের সাথে গল্প করার কোনো প্রবণতা তার মাঝে দেখা যায়নি।শিক্ষকরাও সরকার প্রধানের সন্তান হিসেবে রাসেলকে কখনও আলাদা চোখে দেখেছেন বলে মনে হয়নি গীতাঞ্জলির।
জন্মদিন আনন্দের হলেও রাসেলের প্রতিটি জন্মদিনই অবশ্য শোকে ভারাক্রান্ত করে সহপাঠীদের। কেননা, এ দিনটিতেই তাদের মানসপটে ভেসে আসে শেখ রাসেলের বেদনাদায়ক মৃত্যুর করুণ স্মৃতি।