উত্তর কোরিয়া আরও একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বৃহস্পতিবার। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, এই সপ্তাহে পিয়ংইয়ংয়ের তৃতীয় দফায় মিসাইল নিক্ষেপ এ অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। খবর: ব্লুমবার্গ।
গতকাল দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া পূর্ব উপকূলের দিকে সন্দেহভাজন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। জাপানের কোস্ট গার্ডও জানায়, উত্তর কোরিয়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস দক্ষিণ কোরিয়া সফর শেষ করার কয়েক ঘণ্টা পরেই এ ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ার ঘটনা ঘটল।
এর আগে স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া গত রোববার। জুনের শুরুতে আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর রোববার আবারও একই ঘটনা ঘটিয়েছে দেশটি। এরপর গত বুধবার আরও একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া।
২০২২ সালে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন অন্য যে কোনো বছরের চেয়ে বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র-চালিত ইন্টারসেপ্টর এড়াতে ডিজাইন করা রকেট পরীক্ষা করেছেন। এটি এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে একটি বিশ্বাসযোগ্য পারমাণবিক হামলার হুমকি বাড়িয়েছে। সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এ ধরনের কর্মকাণ্ডের উপস্থিতি লক্ষ করতে পেরেছে।
এদিকে গত ৯ সেপ্টেম্বর নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে উত্তর কোরিয়া। এরই মধ্যে এ বিষয়ে একটি আইন পাস হয়েছে দেশটিতে। পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে ২০০৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। এসব কর্মসূচিতে অর্থায়ন বন্ধ করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও ধারাবাহিকভাবে বিধিনিষেধ বাড়িয়েছে। কিন্তু সব নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।