সম্প্রতি বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের ওপরে সরকারের জুলুম নির্যাতনের বিভিন্ন কৌশল বেড়ে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই বিএনপিকে রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচারবিভাগকে ব্যবহার করে খুন, হত্যা, মিথ্যা মামলা ও উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি এক ভয়ংকর চক্রান্তমূলক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও তার স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য শিরীন সুলতানাসহ নরসিংদীর প্রায় ৫০ জন ছাত্রনেতা, যুবনেতা ও বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় চক্রান্তমূলকভাবে খোকনের নরসিংদীর বাসভবন ও বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ-ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনা কোন সাধারণ ঘটনা নয়। সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যক্ষ যোগসাজশে এবং সমর্থনে কিছু সন্ত্রাসীদের দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ও পরবর্তীতে অগ্নিসংযোগ ঘটানো হয়েছে।
এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে নরসিংদী থেকে বিএনপিকে নিমূল করা এবং খোকনকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।ফখরুল আরও বলেন, গত ১১ মে রায়পুর থানা বিএনপির সভাপতি এ কে নেছার উদ্দিনের জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর ইটাখোলা মোড়ে পৌঁছালে তাকে হত্যার জন্য গাড়িবহরে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গুলি ও ককটেল হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের থেকে প্রাণরক্ষার জন্য লাইসেন্স করা পিস্তল থেকে ৩ রাউন্ড ফাকা গুলি করেন তিনি। এ হামলার ঘটনায় খোকন থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ আমলে নেয়নি। এ ঘটনায় খোকন থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ তা আমলে নেয়নি। উল্টো যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বাদী করে খায়রুল কবির খোকনকে ১ নং আসামি করে বিএনপির ১৮ জন প্রবীণ নেতার বিরুদ্ধে শিবপুর থানায় মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর এবং খোকনের বাড়ি ও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে বোমা হামলা চালিয়েছে এবং আগুন জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিয়েছে সরকারি মদদপুষ্টরা। অপরাধীরা যে দলেরই হোক না কেন হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত ও তাদের নেপথ্যে গডফাদার যারা মদদ দিয়ে যাচ্ছে, তাদেরকে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।