আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও রাজপথে সাংগঠনিক শক্তির জানান দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।আবার বড় সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিরোধী দলগুলোকে এক ধরনের সতর্ক বার্তাও দেওয়া হয়ে যাবে। আগামী নভেম্বর মাসজুড়ে ঢাকা জেলার প্রতিটি থানায় একটি করে বড় সমাবেশ করা হবে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা কালের কণ্ঠকে এমন তথ্য জানিয়েছেন।
তবে আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে গিয়ে কোনো রাজনৈতিক সহিংসতা যাতে না হয় সেদিকে সতর্ক থাকছে আওয়ামী লীগ। কারণ রাজনৈতিক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে তার দায় ক্ষমতাসীন দলের ঘাড়ে পড়ে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে নিজেদের এমন কোনো অবস্থায় ফেলতে চায় না তারা।
বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে নেতাকর্মীদের দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি ও জনসমর্থন নিয়ে যাতে ভুল ধারণা তৈরি না হয় সে জন্য বড় জমায়েতে যাচ্ছে দলটি। ২৯ অক্টোবর ঢাকার সমাবেশ ছাড়াও ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য দলের জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে সারা দেশে বড় সমাবেশ করা হবে। মাঠে নিজেদের উপস্থিতি প্রমাণ দিতে এমন কর্মসূচিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
যদিও চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনায় দলটির কর্মীরা মাঠে থেকেই বিএনপির কর্মীদের সমাবেশে যেতে বাধা দিয়েছে। সব শেষ খুলনায় তা বেশি চোখে পড়েছে।
রাজধানীর সমাবেশে লক্ষাধিক লোকের সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন সংগঠনের নেতারা। আগামী ২৯ অক্টোবর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিন এ সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে।
আগামী ২৯ অক্টোবর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সমাবেশে ঢাকা জেলার সাত থানা থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী যোগদান করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে উন্মুক্ত স্থানে এ সভায় সাত থানার নেতাকর্মীদের বসার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকবে। প্রত্যেক থানার নেতাকর্মীরা আলাদা রঙের টি-শার্ট পরে আসবেন।
সূত্র মতে সমাবেশস্থলের পূর্ব দিকে মঞ্চ নির্মাণ করা হবে। বসার জায়গায় মাথার ওপরে কোনো শামিয়ানা থাকবে না; যাতে পুরো সমাবেশে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি সহজে বোঝা যায়।জানতে চাইলে ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, ‘আমাদের সমাবেশ দেখে বিএনপির চলমান উত্ফুল্লতা কেটে যাবে। আমরা বর্ণিল একটি সমাবেশের আয়োজন করতে যাচ্ছি। এখানে লক্ষাধিক লোক উপস্থিত থাকবে। ’
তবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপির পাল্টা কোনো কর্মসূচি আওয়ামী লীগ পালন করছে না। সাংগঠনিক কর্মসূচি পালন করা হবে। তবে ঢাকা জেলার সম্মেলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত থাকবেন।