রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে পরোক্ষভাবে পশ্চিমা দেশগুলোও এরই মধ্যে জড়িয়ে পড়েছে চলমান যুদ্ধে। কেন না ইউক্রেনকে সামরিক থেকে শুরু করে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলো।
পশ্চিমা দেশগুলোর এই সহায়তার কারণে বাড়ছে সামরিক উত্তেজনা। পশ্চিমা দেশগুলোর আশঙ্কায়, যে কোনো মুহূর্তে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেই অস্ত্র ইউক্রেনে নয়, লক্ষ্যবস্তু হতে পারে ইউরোপের কোনো দেশ।
রাশিয়ার হামলার আশঙ্কায় পরমাণু অস্ত্র নিয়ে সামরিক মহড়া শুরু করেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। জার্মানি, বেলজিয়াম ও যুক্তরাজ্যের আকাশসীমায় চালানো এ মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার বি-ফিফটি টু বোমারু বিমানসহ ৬০টি যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, হামলার এই আশঙ্কা রূপ নিতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে।
এমন আশঙ্কায় ইউরোপের উত্তর সাগরে ব্যাপক আকারে মহড়া শুরু করেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। ‘স্টেডফাস্ট নুন’ নামের এই অনুশীলনে পারমাণবিক হামলা ঠেকাতে সক্ষম এমন ৬০টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমান বি-ফিফটি, ব্যালস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী জার্মানির যুদ্ধবিমান টর্নেডো পিএ-টু হান্ড্রেড ব্যবহার করা হয়েছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমা জোটের এ মহড়া উত্তেজনা আরও বাড়াবে; যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধেও রূপ নিতে পারে। তবে ন্যাটো বলছে, রাশিয়ার হামলা ঠেকানোর আগাম প্রস্তুতি বরং নিময়মিত মহড়ার অংশ হিসেবে এ অনুশীলন।