পণ্যবাহী পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের দাবি, সিলেটের ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দি, জাফলং ও লোভাছড়া পাথর কোয়ারিগুলো থেকে স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকেই পাথর সরবরাহ করা হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ার সাথে প্রায় ১৫ লাখ ব্যবসায়ী-ট্রাক, পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।কিন্তু দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকায় সিলেটের পণ্য পরিবহন খাত বিশেষ করে ট্রাক মালিক ও শ্রমিকদের ব্যবসায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
সিলেটের জাফলং, বিছানাকান্দি ও ভোলাগঞ্জে পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও পাথর কোয়ারি পুনরায় চালুর দাবিতে সোমবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পণ্য পরিবহন মালিকরা
তারা আরো জানান, অধিকাংশ ট্রাক মালিক ব্যাংক ঋণ নিয়ে অথবা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের শর্তে তাদের গাড়ি কিনেছেন। পাঁচ বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকার কারণে ট্রাক মালিকদের পণ্য পরিবহণে ভাটা পড়েছে।
সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক গোলাম হাদী ছয়ফুল জানান, পাথর কোয়ারি বন্ধ থাকায় পরিবহন মালিক শ্রমিকসহ সবাই ঋণের জালে আবদ্ধ। এ নিয়ে বার বার প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং গত ১৬ অক্টোবর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবির ব্যাপারে তারা কোনো কর্ণপাত করছেন না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে রোববার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছি। এর মধ্যে পাথর কোয়ারি খুলে না দিলে সোমবার থেকে সিলেট জেলায় ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু হবে।’