প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কখনো আলোচনা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার গতকাল সোমবার রাতে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
২১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি এতটুকু বলতে পারি, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা, আমার হাত থেকে এই দেশের কোনো সম্পদ কারো কাছে বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না। ওই গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ক্ষমতায় থাকতে পারতাম।আর এখনো যদি আমি বলি, ওই সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বা আমাদের দেশ কাউকে লিজ দেব, তাহলে আমাদের ক্ষমতায় থাকতে কোনো অসুবিধা নেই। আমি জানি সেটা। কিন্তু আমার দ্বারা সেটি হবে না।’কিন্তু কাকে লিজ দিলে ক্ষমতায় থাকতে অসুবিধা হবে না, সেই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বিস্তারিত কিছু বলেননি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ইঙ্গিত করে সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল কিভাবে? তখন তো গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিল। তাহলে এখন তারা দেশ বিক্রি করবে? নাকি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে আসতে চায়?’
এ বিষয়ে সোমবারের মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে জানতে চান একজন সাংবাদিক। জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘আমি শুধু বলব, এই তথ্য সঠিক নয়। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি।আর আমরা কখনো সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নেওয়ার বিষয়ে কোনো আলোচনায় যুক্ত হইনি।’মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিকে আমরা গুরুত্ব দিই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সহযোগিতাসহ গণতন্ত্র উৎসাহিত করতে একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের সম্পর্ক আরো জোরদারের প্রয়াস চালাই।’
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছয়জন কংগ্রেসম্যানের সম্প্রতি লেখা চিঠির বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এ সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অর্জনকে যারা খাটো করে দেখছেন বা ব্যর্থ করে দেওয়ার অপচেষ্টা করছেন তারা বাংলাদেশের বন্ধু নন, তারা শত্রু। তারা কংগ্রেসম্যান হোন, সিনেটর হোন বা কোনো দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোন না কেন, তারা আমাদের শত্রু।এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘আমি সেই চিঠি দেখিনি। আমি এ নিয়ে মন্তব্য করার আগে এ বিষয় বিস্তারিত পর্যালোচনা করতে চাইব।’