প্রতিবেদন অনুযায়ী, জোয়ি লাইকিন নামে ৩৫ বছর বয়সী ওই যুবকের কদিন আগে মাঝরাতে হঠাৎ কাশি লেগে ঘুম ভেঙে যায়। তখন থেকেই শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে থাকে তার। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হাসপাতালে যান।চিকিৎসকরা জানান, সম্ভবত নিউমোনিয়া হয়েছে জোয়ির। রুটিন মাফিক ফুসফুসের এক্স-রে করা হয়। তাতেই বোঝা যায় নিউমোনিয়া নয়, বরং যুবকের বাঁ ফুসফুসে ঘোড়ার ক্ষুরের মতো কিছু আটকে রয়েছে।
আকারে ছোট হওয়ায় কানের দুল কিংবা নাকের নোলক হারিয়ে যাওয়া বেশ সাধারণ ঘটনা। তেমনই এক যুবক বছর পাঁচেক আগে নাকের নোলক হারিয়ে ফেলেছিলেন। সম্প্রতি তা খুঁজে পাওয়া গেছে।তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো সেই নোলকটির খোঁজ মিলেছে ওই যুবকের ফুসফুসে। এ ঘটনায় যারপরনাই অবাক হয়েছেন চিকিৎসকরা। যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও অঙ্গরাজ্যের এ ঘটনার কথা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল।
তখন ডাক্তাররা এক্স-রে প্লেটটি জোয়িকে দেখান। আর সেটি দেখে চমকে ওঠেন তিনি। কারণ পাঁচ বছর আগে হারানো তার নাকের নোলকটি রয়েছে ফুসফুসের ভেতরে। বছর পাঁচেক আগে সখ করে কিনে ওই নোলক নাকে লাগিয়েছিলেন তিনি। একদিন ভোরে উঠে দেখেন নাকে নেই সেটি। তারপর হাজার খুঁজেও আর পাননি সেটি।জোয়ি জানান, এই সেই নোলক। চিকিৎসকরা বলছেন, ঘুমন্ত অবস্থায় নোলকটি কোনোভাবে নাক দিয়ে ঢুকে শ্বাসনালিতে আটকে গিয়েছিল। কয়েক বছর ধরে সেটি সেখানেই ছিল। যদিও টের পাননি নোলকের মালিক জোয়ি। শেষ পর্যন্ত ব্রঙ্কোস্কোপি করে চিকিৎসকরা বের করেন নোলকটি।যদিও রহস্য কিন্তু রয়েই গেছে! নোলকটি এত বছর আগে শ্বাসনালীতে ঢুকে পড়লেও টের পেলেন না কেন তিনি? কেন আগেই কোনো শারীরিক অসুবিধা হলো না তার? এই বিষয়ে এখনও আলোকপাত করতে পারেননি মার্কিন চিকিৎসকরা। তবে ফুসফুস থেকে নোলক উদ্ধারের পর জোয়ি এখন পুরোপুরি সুস্থ।