বাংলাদেশের রাজনীতির সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে আগামী ১০ ডিসেম্বর। কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। আলোচনার সূত্রপাত হয়েছিল বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের এক বক্তব্যকে ঘিরে।
১০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহাসমাবেশ থেকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ঘণ্টাধ্বনি বাজানো হবে যে হুঁশিয়ারি বিএনপি নেতারা দিচ্ছেন তাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। উল্টো সেদিন বিএনপির আন্দোলনের পতন ঘণ্টা বাজবে বলে জানান তিনি।শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে চতুর্থ শিল্প বিল্পব উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির আন্দোলনের পতন ঘণ্টা বাজবে।
কিছুদিন আগে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ১০ ডিসেম্বরের পরে বাংলাদেশের সব কিছু পরিচালিত হবে খালেদা জিয়ার কথায়। একইসঙ্গে বিএনপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। তাদের কোনো কোনো নেতা বলছেন যে, তাদের নেতা তারেক রহমান দেশে ফিরবেন।গত ২৯ অক্টোবর রংপুরের জনসভা থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষণা করেছেন, ১০ ডিসেম্বরের পরে সরকার পতনের আন্দোলন করা হবে। তিনি বিএনপি নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে সরকার পতনের আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যকে ঘিরে অনেকের মধ্যে যে প্রশ্নটি ঘুরপাক খাচ্ছে তা হলো আগামী ১০ ডিসেম্বর কিংবা তার পরবর্তী সময়ে দেশে কি কোনো ঘটনা ঘটতে চলেছে?শুক্রবার ঢাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ১০ ডিসেম্বর নিয়ে বিএনপির নেতাদের বক্তব্যকে পাত্তা না দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির আন্দোলনের পতন ঘণ্টা বাজবে।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে যারা ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছে তাদের চেয়ে আর কেউ প্রতিহিংসাপরায়ণ নেই বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, যখন খুশি তখন আমার ইচ্ছেমতো, আমার সুবিধামতো সংবিধান ব্যবহার করব সেটা চলবে না। দুনিয়ার কোথাও চলে না।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপলক্ষে ৪ ও ৫ নভেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (আইইবি) এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি।
এই সম্মেলনের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে যাত্রা এবং ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন’।ফোরআইআর নিয়ে আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্মার্ট এগ্রো, এডুটেক, ব্লকচেন, আইওটি, রোবটিক্স, মেশিন লার্নিং, ক্লাউড কম্পিউটিং, জেনেটিক্স ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, থ্রিডি প্রিন্টিং, অটোনোমাস ভেহিকেল, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, ট্রান্সপোর্ট ও এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে ইতোমধ্যে ৫৭৮ টি পেপার ও পোস্টার জমা পড়েছে।শুধু বাংলাদেশের গবেষকরা নন, ইউরোপ, আমেরিকা, ইন্ডিয়া, জাপান, চীন, অস্ট্রেলিয়া থেকেও গবেষকরা শতাধিক পেপার সাবমিট করেছেন।