ডেঙ্গু মোকাবিলায় গবেষণা ও বিজ্ঞানসম্মত কর্মসূচি গ্রহণের জন্য কীটতত্ত্ববিদদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিটি করপোরেশনে ‘কীট নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা’ ও ‘ঊর্ধ্বতন কীট নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা’ নামে দুটি পদ আছে। অথচ রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের কোনোটাতেই কোনও কীটতত্ত্ববিদই নেই।
ক্রমবর্ধমান ডেঙ্গুর কথা ভেবে এবার উত্তর সিটি করপোরেশন তাদের অর্গানোগ্রামের সংশোধনীতে কীটতত্ত্ববিদ নিয়োগের বিধান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে প্রতিনিই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত একদিনে দেশে ২৪০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সবমিলিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৮২ জনে। ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন এক হাজার ৭২৫ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি আছেন ৫৫৭ জন। ১ জানুয়ারি থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯ হাজার ৫২৩ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৭ হাজার ১৭৭ জন। আর মারা গেছেন ৬৪ জন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সারোয়ার বলেন, আমাদের মূলত মেডিক্যাল অ্যান্টামোলজিস্ট দরকার। তাই আমাদের অর্গানোগ্রামের সংশোধনীর প্রস্তাবনায় ডিএনসিসির ১০ জোনে ১০ জন ও প্রধান কার্যালয়ে একজনসহ মোট ১১ জন কীটতত্ত্ববিদের পদ সৃষ্টি করতে চাইছি। যেহেতু আইন ও বিধান মতে, নবম গ্রেডের ওপরে কাউকে নিয়োগ করার নিয়ম নেই, তাই আমরা সরাসরি বিশেষজ্ঞ কাউকে নিতে পারছি না। তবে যাদেরকে নেওয়া হবে, তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলতে চাই। এখনও আমরা বাইরের বিশেষজ্ঞ কীটতত্ত্ববিদদের পরামর্শ নেই। কিন্তু সার্বক্ষণিক কীটতত্ত্ববিদ থাকলে সুবিধা হয়।
উত্তর সিটিতে কীটতত্ত্ববিদ নিয়োগের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাসার বলেন, সিটি করপোরেশনে অবশ্যই মেডিক্যাল অ্যান্টোমলজিস্ট থাকা দরকার। এই বিষয়ে আমি মেয়র আতিকুল ইসলামকে ২০১৯ সালে জানিয়েছিলাম। দেরিতে হলেও এখন তারা যদি কীটতত্ত্ববিদ নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাকে সাধুবাদ জানাই। এটা একটা ভালো সিদ্ধান্ত হবে। উত্তরের পাশাপাশি দক্ষিণ সিটি করপোরেশনেও এই উদ্যোগ নেবে আশা করছি।