শিরোনাম:
মাদারীপুরের এক ইউপি চেয়ারম্যান কে মানব পাচার মামলার অপরাধে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব কুমিল্লায় গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে পাঁচ জন গ্রেফতার ফেনীর পুলিশ কর্মকর্তার রুম থেকে আট লাখ টাকার মালামাল চুরি রাঙ্গামাটিতে বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যু ত্রিভুজ প্রেমের বলি হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী তাজকির পুলিশ আশ্রয়দাতা হলে মানুষ অতীতের সব কথা ভুলে যাবে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদকসহ শতাধিক নেতাকর্মীর পদত্যাগ বগুড়ায় দুই শিশুকে ধর্ষণকারী নুরু দুই দিনের রিমান্ডে কক্সবাজারে সমন্বয়ের পিতাকে খুনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও বিচার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে প্রক্সি ভোটের বিকল্প নেই
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ১১:০৬ অপরাহ্ন

ইউক্রেনকে গুচ্ছ বোমা দিতে আপত্তি জার্মানির

প্রতিনিধির / ৪৮০ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৩
ইউক্রেনকে গুচ্ছ বোমা দিতে আপত্তি জার্মানির
ইউক্রেনকে গুচ্ছ বোমা দিতে আপত্তি জার্মানির

ক্লাস্টার বা গুচ্ছ বোমা। এই বোমা ফাটালে একসঙ্গে অনেক মানুষকে আঘাত করা যায়। কারণ বোমার ভিতর রাখা অসংখ্য স্প্লিন্টার চারিদিকে ছড়িয়ে গিয়ে শত্রুকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ইউক্রেনকে এই ধরনের ক্লাস্টার বোমা দিতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্রড।

২০০৮ সালে এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার যাতে না হয়, তার জন্য একটি চুক্তি হয়েছিল। জার্মানি সেই চুক্তির অন্যতম দেশ। চুক্তিতে বলা হয়েছিল, এই ধরনের বোমা বেসামরিক মানুষের ক্ষতির কারণ হতে পারে।কারণ, এই বোমা নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করে না। চারিদিকে ছড়িয়ে যায়। ফলে এই বোমা ব্যবহার করলে বহু মানুষ আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারেন এবং সেখানে বেসামরিক মানুষেরাও আক্রান্ত হতে পারেন।রাশিয়া ইউক্রেনেযুদ্ধ শুরু করার পর অভিযোগ উঠেছিল, বেশ কিছু জায়গায় রাশিয়ার সেনা ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করেছে।

বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এবার সেই ক্লাস্টার বোমা ইউক্রেনের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।
ক্লাস্টার বোমা বিরোধী চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের নেই। ফলে ইউক্রেনকে এই ধরনের বোমা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আইনি সমস্যা নেই। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর অংশ।

ন্যাটো ইউক্রেনকে কোনো অস্ত্র দিলে সেখানে ন্যাটোর সমস্ত দেশের সবুজসংকেত প্রয়োজন। ফলে জার্মানি সমস্যায় পড়েছে।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস অবশ্য বিষয়টি থেকে দূরত্ব তৈরির কৌশল নিয়েছেন। বুধবার বার্লিনে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া ক্লাস্টার বোমার পক্ষে সওয়াল করেছে।জার্মানি যে অবস্থান নিতে চলেছে তা হলো, যুক্তরাষ্ট্র একটি সার্বভৌম দেশ। ইউক্রেনকে ব্যক্তিগতভাবে তারা এই বোমা দিচ্ছে। জার্মানি এই বোমা সমর্থন করে না ঠিকই, কিন্তু তারা নিষেধ করার জায়গাতেও নেই।

যুদ্ধশুরু হওয়ার পর ইউক্রেনকে কী ধরনের অস্ত্র দেওয়া হবে, তা নিয়েও রীতিমতো সমস্যায় পড়েছিল জার্মানি। প্রাথমিকভাবে জার্মানির অভিমত ছিল কেবলমাত্র রক্ষণাত্মক অস্ত্রই দেওয়া হোক ইউক্রেনকে। পরে অবশ্য তারা আক্রমণাত্মক অস্ত্রও দিয়েছে। এবার ক্লাস্টার বোমা নিয়ে সেই একই সমস্যায় পড়েছে জার্মানি।

ইউক্রেন জানিয়েছে, তাদের অস্ত্র এবং গোলা-বারুদ দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে। প্রয়োজন মতো অস্ত্রের জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র তৈরির সবচেয়ে বড় দেশ। তারাও ইউক্রেনকে অস্ত্র জোগান দিয়ে উঠতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ক্লাস্টার বোম দিতে চাইছে ইউক্রেনকে। কারণ এই বোমা একসঙ্গে অনেককে ঘায়েল করা যায়। ইউক্রেনও এই বোমা পেতে উৎসাহী।সাম্প্রতিক ন্যাটোর সম্মেলনে জার্মানি ইউক্রেনের জন্য ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর অস্ত্রের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। কিন্তু সেই অস্ত্র কতদিনে দেওয়া যাবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ইউক্রেন জানিয়েছএ, রাশিয়াকে পরাস্ত করার জন্য যত দ্রুত সম্ভব তাদের আরো অস্ত্র প্রয়োজন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ