মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের ১৬ সদস্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। ইউক্রেনকে কেন গ্রে ঈগল ড্রোন দেওয়া হবে না— আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এর কারণ জানতে চেয়েছেন তারা।
এবার ওয়াশিংটনের কাছে নতুন করে শক্তিশালী গ্রে ঈগল ড্রোন চেয়েছে ইউক্রেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন এ ড্রোন দিতে চায় না। তবে কিয়েভকে এ ড্রোন দেওয়ার জন্য এখন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ওপর চাপ বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গ্রে ঈগল ড্রোন ২৯ হাজার ফুট উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে এবং একটানা ২৪ ঘণ্টা আকাশে উড়তে পারে, যা শত্রুপক্ষকে সহজে ঘায়েল করতে সক্ষম। তবে রাশিয়া গুলি করে ভূপাতিত করবে এ আশঙ্কা থেকে বাইডেন প্রশাসন এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে এ ড্রোন দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছে।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়া ইরানের তৈরি আত্মঘাতী কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে শক্তিশালী ড্রোন চেয়েছে ইউক্রেন। যেন যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সেনাদের সঙ্গে সমানে সমানে লড়াই করতে পারে তারা।এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে আরও সহায়তা চেয়েছেন। এদিন ফ্রান্সের মেয়রদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়া ঠাণ্ডা আবহাওয়াকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। এ কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে জ্বালানি স্থাপনার ওপর হামলা চালাচ্ছে।’
তিনি শীতের সময়টায় ইউক্রেনকে জেনারেটর, মাইন পরিষ্কার করতে সহযোগিতা এবং ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবার যন্ত্রাংশ ও ওষুধ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।