পূর্ব ইউরোপের সরকারগুলো কিয়েভ সরকারকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। এজন্য অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিচ্ছে সুযোগ। এর একেবারে সামনের সারিতে রয়েছে পোল্যান্ড, যারা ড্রোন থেকে শুরু করে সব ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরি করছে। দেশটি আগামী এক দশকে অস্ত্র শিল্পখাতে বিনিয়োগ দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ শুরুর পর ইউরোপের দেশগুলোর অর্থনীতিতে স্থবিরতা নেমে এলেও বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে অস্ত্র খাতে। এই যুদ্ধের ফলে পূর্ব ইউরোপে ফুলে ফেঁপে উঠেছে অস্ত্র ব্যবসা। এ অঞ্চলের কোনও কোনও দেশ অস্ত্র বিক্রিতে নতুন রেকর্ডও গড়তে যাচ্ছে।জানা গেছে, এসব দেশে এত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরি হচ্ছে যা স্নায়ুযুদ্ধের অবসানের পর আর কখনও হয়নি।
পোল্যান্ডের অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান পিজিজেড জানায়, তারা ইউক্রেনে মর্টারসহ ক্ষুদ্রাস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠাচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে পোল্যান্ড দেড়শ’ কোটি ডলারের অস্ত্র রফতানি করতো। কোম্পানিটি আশা করছে- চলতি বছর অস্ত্র খাতে তাদের আয় আগের বছরকে ছাড়িয়ে যাবে।
একই ধরনের ঘটনা চেক প্রজাতন্ত্রে ঘটেছে। ইউক্রেন যুদ্ধর শুরুর পর থেকে গত নয় মাসে দেশটি কিয়েভকে ২১০ কোটি ডলারের অস্ত্র দিয়েছে। ১৯৮৯ সালের পর চেক প্রজাতন্ত্র অস্ত্র রফতানি খাতে নতুন রেকর্ড গড়তে চলেছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন দেশটির উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী টমাস কোপেকনি। তিনি জানান, বিশ্বের অন্যতম বড় অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার দেশের অংশীদারিত্ব রয়েছে যা প্রাগের জন্য বিরাট সুযোগ।