সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৬ অপরাহ্ন

ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় রাতভর রুশ বাহিনীর আক্রমণ

প্রতিনিধির / ২২২ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩
ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় রাতভর রুশ বাহিনীর আক্রমণ
ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় রাতভর রুশ বাহিনীর আক্রমণ

ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় রাতভর রুশ বাহিনী আক্রমণ চালিয়েছে। এর ফলে কিয়েভে সারা রাত ধরে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। বেসামরিক মানুষ মাটির তলায় সাবওয়ে স্টেশনে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।মঙ্গলবার কিয়েভে এখনো সতর্কতা জারি রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎশকো।

তিনি বলেন, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সাহায্যে কিয়েভ রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করেছে।কিয়েভের মেয়র জানান, রাজধানী ছাড়াও ইউক্রেনের অন্যান্য শহরে একইভাবে আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। বিমান হামলা ছাড়াও দূরপাল্লার রকেটও ছোঁড়া হয়েছে।মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত রাশিয়া এই আক্রমণ চালায় বলে তিনি জানান।

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদিকে সোমবার রাতে দেশের সেনাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, সেনারা যেভাবে লড়াই করছে, তা এক কথায় অভূতপূর্ব। একের পর এক দখল হয়ে যাওয়া জায়গা তারা পুনর্দখল করছে। প্রাণের বিনিময়ে তারা দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে। বাখমুত শহরটি তারা পুনর্দখল করতে পেরেছে। বস্তুত, এই বাখমুতে গত কয়েকমাস ধরে টানা লড়াই হয়েছে। শেষপর্যন্ত শহরের দখল নিয়েছিল রাশিয়ার অসরকারি সেনাদল ভাগনার। ১ জুন ভাগনার রাশিয়ার সেনার হাতে ভাগনার তুলে দিয়ে ফ্রন্টলাইন থেকে চলে যায়। জেলেনস্কির দাবি, সেই বাখমুত সোমবার ইউক্রেনের সেনা পুনর্দখল করেছে।

এদিকে রাশিয়ার সেনা সোমবার দাবি করেছে, ইউক্রেন সোমবার তাদের অঞ্চলে ঢুকে লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু রাশিয়া তা প্রতিহত করেছে। ইউক্রেনের বিপুল পরিমাণ সেনা নিহত হয়েছে। তাদের ট্যাঙ্কও ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। যদিও ইউক্রেন একথা মানতে রাজি হয়নি। তবে ইউক্রেনের সেনা যে ফ্রন্ট লাইন থেকে সামনের দিকে এগতে শুরু করেছে, তা মেনে নিয়েছেন জেলেনস্কি।

রাশিয়ার ডুমার সাবেক প্রতিনিধি এবং রাজনীতিক ইলাইয়া পোনোমারেভ এখন ইউক্রেনে বসবাস করেন। দ্য ফ্রিডম অফ রাশিয়া লিজিয়ন মিলিশিয়া চালান তিনি। ডিডাব্লিউকে তিনি জানান, বেলগ্রেদ অঞ্চলের রাজধানী শেবেকিনো এখন তাদের দখলে।তিনি জানান, এই লড়াই ইউক্রেনের সেনা তাদের পাশে ছিল না। তারা নিজেদের শক্তিতেই রাশিয়ার সঙ্গে লড়াই করে ওই অঞ্চলে দখল করেছেন। সীমান্তবর্তী এলাকাটি এখন তাদের দখলে।পোনোমারেভের দাবি, তারা যে অস্ত্র ব্যবহার করেছে, তা অধিকাংশই রাশিয়ার। তবে মার্কিন অস্ত্র সামান্য কিছু আছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি। তবে ইউক্রেনের সেনা তাদের সাহায্য করছে না বলেই দাবি করেছেন এই রাজনীতিক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ