আল-জাজিরার খবরে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর এটিই বিশ্বের সবথেকে বড় অর্থনীতির দেশগুলোর প্রথম বৈঠক। প্রথমে ইন্দোনেশিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে, রুশ প্রেসিডেন্ট এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি যোগ দেবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিলই। অবশেষে তাই সত্য হলো। ইন্দোনেশিয়ায় থাকা রুশ দূতাবাস থেকে পুতিনের যোগদান নিয়ে জানানো হয়, তিনি মস্কো থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন।
এ বছরের জি২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আগামী সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে রাশিয়ার তরফ থেকে যে প্রতিনিধি দলকে পাঠানো হচ্ছে তাদের নেতৃত্বে থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এর আগে ইন্দোনেশিয়ার সরকারের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান যে, ল্যাভরভই এই সম্মেলনে পুতিনের প্রতিনিধিত্ব করবেন এবং পুতিন নিজে ভিডিও কলের মাধ্যমে যুক্ত থাকবেন। এ সপ্তাহের শুরুতে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো জানিয়েছিলেন, তিনি আশঙ্কা করছেন পুতিন সরাসরি এ সম্মেলনে যোগ নাও দিতে পারেন।
জি২০ সম্মেলনে বিশ্বের সবথেকে বড় অর্থনীতির ১৯টি দেশ এবং ইইউ নেতাদের একত্র হওয়ার কথা। সেখানে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষে থাকাদের সংখ্যাই বেশি। রাশিয়ার উপরে দেয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বে খাদ্য ও জ্বালানী সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
হুমকির মুখে পড়েছে পশ্চিমা দেশগুলো তথা গোটা বিশ্বের অর্থনীতিই। বৈশ্বিক এ সংকটের জন্য পুতিনের দিকেই আঙুল তুলছে পশ্চিমারা। অপরদিকে রাশিয়া বলছে পশ্চিমাদের দেয়া নিষেধাজ্ঞাই এই সংকটের জন্য দায়ী। এমন পরিস্থিতিতে জি২০ সম্মেলনে পুতিনের সঙ্গে কীভাবে বোঝাপড়া হবে তার দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা বিশ্ব। তবে এবার আর সেটি হচ্ছে না বলেই মনে হচ্ছে।
জি২০ সদস্যদের বেশিরভাগই ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের বিরুদ্ধে। জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবেও এর সদস্যরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে আসছে। যদিও এখনও নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে, চীন, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে। তিনি জানিয়েছিলেন, পুতিন অংশগ্রহণ করলে তিনি যাবেন না।