শিরোনাম:
সহায়তা চেয়ে এনবিআরকে বিজিবিএর ৫ প্রস্তাব বিশ্বজুড়ে ইসলাম বিদ্বেষ উচ্চহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা নিয়ে চিন্তিত জাতিসংঘের মহাসচিব ৪৩ দেশের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প দুবাইয়ে সড়ক যানজট নিয়ন্ত্রণ ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে জামালপুরে দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগে শিক্ষক আটক পুঁজিবাজারে উন্নয়নের জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে বিএসইসির চেয়ারম্যান টিসিবির পণ্য ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ নরসিংদীতে শীতলক্ষা নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই বন্ধুর মৃত্যু চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ঢাকায় বসুন্ধরায় আটক বরিশালে শিশু ধর্ষণ চেষ্টা গণপিটুনিতে এক অটোচালক নিহত
রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন

জুলাই আন্দোলনে আহত নাঈম এখনো বিছানায় কাতরাচ্ছেন

প্রতিনিধির / ৩৮ বার
আপডেট : সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫

একটি বুলেট ধূসর করে তুলেছে দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নকে। সে ছিল দিনমজুর বাবার দুঃখ ঘোচাতে বড় ভাইয়ের পাশে থেকে কিছু একটা করবেন। শিখেছিল কোরিয়ান ভাষা। স্বপ্নের পথে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিলেন নাঈম ইসলাম। তবে বেশিদূর এগোতে আর পারেননি। পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে তাকে। জুলাই আন্দোলনে পুলিশের ছোড়া বুলেটে স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়ে এখন কোঁকড়াচ্ছেন নাঈম।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর মোল্লা বাড়িতে থাকেন নাঈম। দিনমজুর আলমগীর হোসেনের ছেলে তিনি। পড়েন নারায়ণগঞ্জ তুলারাম সরকারি ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে।

গত ১৯ জুলাই শুক্রবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিতে গিয়ে ঢাকার বনশ্রীতে বুলেট লাগে তার পায়ে। এতে বা-পায়ের হাঁড় ভেঙে যায় নাঈমের।

জানা যায়, নিজের পায়ে দাঁড়াতে গ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জে খালার বাসায় উঠেন নাঈম। ভর্তি হন তুলারাম সরকারি ডিগ্রি কলেজে। দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী থাকাবস্থায় নিজের খরচ মেটাতে স্থানীয় একটি ফার্মেসীতে চাকরি নেন। ভবিষ্যতে স্টুডেন্ট ভিসায় কোরিয়া যাওয়ার মনোবাসনা নিয়ে কোরিয়ান ভাষার কোর্সে ভর্তি হন। সেটি শেষও করেন। এরই মধ্যে শুরু হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শিক্ষার্থী নাঈম ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থী হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রায়ই যোগ দিতাম। গত ১৯ জুলাই আন্দোলনে যোগ দিতে গিয়ে ঢাকার বনশ্রীতে আন্দোলনরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হই। তখন সেখানে আমার বন্ধুরা ছিল। তারা আমাকে পাশের হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর পঙ্গু হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

পড়ালেখার পাশাপাশি কোরিয়ান ভাষা শিখছিলাম। যাতে স্টুডেন্ট ভিসায় বা অন্য কোনো ভিসায় কোরিয়া যাওয়া যায়। এখন তো আর সম্ভব হচ্ছে না। কারণ গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আর সম্ভব হবে না যাওয়ার জন্য। আমার সুস্থ হতে অনেক দিন সময় লাগবে। আর পরিপূর্ণ সুস্থ হই কিনা, তা সময়ই ভালো বলবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ