গেলো সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের (ডিভিসি) বাঁধ খুলে দেয়া হয়। এতে নদীর উজানে থাকা ঝাড়খণ্ড থেকে ভাটির পশ্চিমবঙ্গ অংশে ওইদিন ৯০ হাজার কিউসেক এবং পরদিন (মঙ্গলবার) ২ লাখ ১০ হাজার কিউসেক পানি ঢোকে। ফলে প্লাবিত হয় রাজ্যের দশটি জেলা। এগুলো হলো: হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান ও পূর্ব বর্ধমান।
দামোদর প্রকল্প পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় এবং ঝাড়খণ্ডের রাজ্য সরকার। বুধবার বার্তাসংস্থা পিটিআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের বন্যার জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় এবং ঝাড়খণ্ডের রাজ্য সরকার। দামোদর প্রকল্প এবং ঝাড়খণ্ডকে বাঁচাতে তারা বাংলার (পশ্চিম বঙ্গ) দশ জেলাকে ডুবিয়ে দিয়েছে।’
মমতা বলেন, এর আগে এ ধরনের ঘটনা কখনও ঘটেনি। প্রায় সাড়ে তিন লাখ কিউসেক পানি ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী এবং ডিভিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি; কিন্তু তারা দায় এড়িয়ে গেছেন।’
তিনি বলেন, ‘লাখ লাখ মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। উপদ্রুত বিভিন্ন এলাকায় যে গতিতে পানি বাড়ছে, তাতে যে কোনো সময় সবকিছু তলিয়ে যেতে পারে।’
বৃহস্পতিবার রাজ্যের কয়েকটি বন্যাকবলিত অঞ্চল তিনি সফর করবেন বলে জানা গেছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে।
এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের জবাব কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা ঝাড়খণ্ড রাজ্য সরকার না দিলেও এ ইস্যুতে তার সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির নেতা এবং বিধানসভার বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্টে তিনি বলেন, ‘বন্যা মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কোনো আগাম প্রস্তুতি ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী, আপনি বরাবরই নিজের দায় অন্যের ওপর চাপানোর চেষ্টা করেন। এই অভ্যাস থেকে সরে আসুন।’