শিরোনাম:
পরীক্ষা দিতে এসে নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা আটক গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই এর চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মার্চের প্রথম ১৫ দিনে দেশের ৭টি ব্যাংকে কোন রেমিটেন্স আসেনি কুমিল্লায় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় পণ্য জব্দ বলিউডের তারকাদের হোলি উদযাপন যারাই ক্ষমতায় আসুক গুম খুনের বিচার অবশ্যই করতে হবে সিনেমায় কাজের বিনিময়ে যারা আপত্তিকর প্রস্তাব দেয় সেইসব লোকেরা কি ধর্ষকের ক্যাটাগরিতে পড়ে না এমনই এক কথা বলেছেন অভিনেত্রী স্বাগতা খুলনায় একাধিক মামলার আসামি শাহীন দূর্বৃত্তের গুলিতে নিহত প্রশান্ত মহাসাগরে ৯৫ দিন ধরে ভেসে থাকা এক জেলেকে উদ্ধার করেছে নর্থ মেসিডোনিয়ায় একটি নৈশ্যক্লাবে ভয়াবহ আগুনে ৫৯ জন মারা গেছে
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৭:১০ পূর্বাহ্ন

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউর ১১তম নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি

প্রতিনিধির / ২২০ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০২৩
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউর ১১তম নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউর ১১তম নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি

ইউরোপীয় ইউনিয়নে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ১১তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ আরোপের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। সব ঠিক থাকলে কয়েক দিনের মধ্যেই ইইউ এই প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান মুখপাত্র এরিক মামের জানিয়েছেন, শুক্রবারই কমিশন এ বিষয়ে সহমত হয়েছে। তারপর আলোচনা শুরু হয়।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু করে। এরপর গত প্রায় দেড় বছরে ইইউ রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেখানে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি যেমন আছেন, তেমনই আছে একাধিক সংস্থা। রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক কার্যত বন্ধ করেছে ইইউ। সবচেয়ে বড় কথা, রাশিয়ার কাছ থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে ইইউ। ইইউ মনে করেছিল, এই নিষেধাজ্ঞাগুলোর ফলে ক্রমশ রাশিয়ার অর্থনীতি চাপের মুখে পড়বে।

ফলে যুদ্ধ বন্ধ করতে তারা বাধ্য হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে তেমনটা হয়নি। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে রাশিয়ার অর্থনীতির খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। এর কারণ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করলেও ইউরোপের জিনিস অন্য দেশ মারফত রাশিয়ায় পৌঁছাচ্ছে। ঠিক একইরকমভাবে রাশিয়ার জিনিস অন্য দেশ মারফত ইউরোপে যাচ্ছে।

১১তম নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজে এই বিষয়টি ধরা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ যে দেশগুলোর মাধ্যমে ইউরোপের জিনিস রাশিয়ায় পৌঁছাচ্ছে, সেই দেশগুলোকে চিহ্নিত করা হতে পারে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তবে এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে সরাসরি এখনো কিছু জানানো হয়নি। সূত্র মারফত এই তথ্য জার্মানির সংবাদ সংস্থা ডিপিএ জানতে পেরেছে।

সূত্র জানাচ্ছে, আলোচনায় চীন, তুরস্ক, আরব আমিরাত ছাড়াও মধ্য এশিয়ার বেশ কিছু দেশের নাম উঠে এসেছে। ইইউর বক্তব্য, শুধু বেসামরিক জিনিস নয়, তৃতীয় দেশের সাহায্যে রাশিয়া ইউরোপের সামরিক জিনিসও ব্যবহার করছে। উদাহরণ, নাইট ভিশন গগলস। বেসামরিক কারণে ওই গগলস তৃতীয় দেশের হাত ধরে রাশিয়ায় পৌঁছাচ্ছে এবং রাশিয়ার সেনা তা ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ।

ইইউ সূত্র জানাচ্ছে, বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় সংস্থাকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের হাত ধরে ইউরোপের জিনিস তৃতীয় দেশের হাত ধরে রাশিয়ায় পৌঁছাচ্ছে। তবে ওই সংস্থাগুলোর নামের তালিকা জানানো হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ