রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান নেতৃত্বকে ‘ক্ষমতাচ্যুত’ করার হুমকি দিয়েছেন দেশটির বেসরকারি সামরিক কোম্পানি পিএমসি ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। টেলিগ্রামে দেওয়া পেস্টে তিনি বলেছেন, আমাদের ২৫ হাজার সদস্য মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ টেলিগ্রামে প্রকাশিত বার্তায় প্রিগোজিন জানান, তার বাহিনী এরই মধ্যে ইউক্রেন ছেড়ে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী শহর রোস্তভ-অন-ডনে প্রবেশ করেছে। এছাড়া, রুশ বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বাধ্য হয়ে শনিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি একে জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে আখ্যায়িত করেছেন। বলেছেন, পেছন থেকে ছুরি চালানো হয়েছে। প্রিগোজিন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি বিদ্রোহ ঘোষণা করলেও আদতে একে দেখা হচ্ছে পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হিসেবে।
এ সময় তিনি রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং দেশটির সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমোভের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘আমরা তাদের নোংরামির শেষ দেখতে চাই। আমরা কোনো সেনা অভ্যুত্থান করছি না, বরং ন্যায়বিচারের জন্য (মস্কো অভিমুখে) এগিয়ে চলছি।’
এদিকে মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন ঘোষণা দিয়েছেন, জননিরাপত্তা নিশ্চিতে স্থানীয় বাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সড়ক বন্ধ ও পাবলিক ইভেন্টে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।এ ছাড়া রোস্তভ অঞ্চলের গভর্নর নাগরিকদের রোস্তভ-অন-দনের কেন্দ্রস্থল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে সম্ভব হলে ঘর থেকে বের না হওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছে রুশ বাহিনী। যার কয়েক মাস পর রুশ বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় ওয়াগনার। ইউক্রেন ছাড়াও সিরিয়া, লিবিয়া, মালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থের বিনিময়ে সরকারি বাহিনীর সহযোগী হিসেবে যুদ্ধ করছেন ওয়াগনারের সেনাসদস্যরা।