নাইজার সীমান্তের নিকটবর্তী উত্তর-পূর্ব বুরকিনা ফাসোর দুটি গ্রামে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামলা চালিয়েছে। এতে ৪৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটিতে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রোববার (৯ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) উত্তর বুরকিনা ফাসোর নাইজার সীমান্তবর্তী সাহেল অঞ্চলের কৌরাকাউ এবং টন্ডোবি গ্রামে হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। হামলায় প্রায় ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।সাহেল অঞ্চলের লেফটেন্যান্ট-গভর্নর রোডলফ সোর্গো জানান, বৃহস্পতিবারের হামলায় কৌরাকাউতে ৩১ জন এবং টন্ডোবি গ্রামে ১৩ নিহত হয়েছেন। এ হামালায় অন্যান্য গ্রামবাসীও আহত হয়েছেন। তবে তাদের সংখ্যা ঠিক জানা যায়নি।
তিনি আরও জানান, ‘হামলার শিকার এলাকাকে স্থিতিশীল করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। হামলাকারীদের শনাক্তে সেনা অভিযান চলছে।কৌরাকাউয়ের একজন বাসিন্দা এএফপিকে বলেছেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিশাল সন্ত্রাসী দল গ্রামে ঢুকে পড়ে। তিনি আরও বলেন, আমরা সারারাত ধরে গুলির শব্দ শুনতে পাই। শুক্রবার সকালে দেখতে রাতের হামলায় পাই কয়েক ডজন মানুষ মারা গেছে।
দ্য গার্ডিয়ান জানায়, দরিদ্র সাহেল অঞ্চলটি আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের জিহাদিদের সঙ্গে সাত বছর ধরে লড়াই করছে। সংকটের সময় হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির উত্তরে ডিউত অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের হামলায় ৫১ সৈন্য নিহত হয়।একপর্যায়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পল-হেনরি দামিবার নেতৃত্বে বুরকিনা ফাসোর সামরিক বাহিনী সহিংসতা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত বছরের জানুয়ারিতে দেশটির ক্ষমতা দখল করে। কিন্তু তিনি এসব আক্রমণ ও সহিংসতা বন্ধ করতে ব্যর্থ হন এবং সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় আরেকটি অভ্যুত্থানে তাকে অপসারণ করেন ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওরে।বুরকিনা ফাসোর নতুন সামরিক প্রধান এই সপ্তাহে জিহাদিদের বিরুদ্ধে একটি গতিশীল আক্রমণ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।