শিরোনাম:
কক্সবাজারে সমন্বয়ের পিতাকে খুনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও বিচার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে প্রক্সি ভোটের বিকল্প নেই পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়া যাবে না আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৫ তম জন্মদিন দেশের জার্সি গায়ে জড়ানোর অপেক্ষায় হামজা চৌধুরীর ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় ৫৩ জনের মৃত্যু চুরি ডাকাতি আতঙ্কে রাতে স্বস্তি পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ পরীক্ষা দিতে এসে নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা আটক গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই এর চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মার্চের প্রথম ১৫ দিনে দেশের ৭টি ব্যাংকে কোন রেমিটেন্স আসেনি
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৫:১২ অপরাহ্ন

ভেঙে পড়তে পারে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবন

প্রতিনিধির / ২৪৫ বার
আপডেট : বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩
ভেঙে পড়তে পারে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবন
ভেঙে পড়তে পারে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবন

ওয়েস্টমিনিস্টারের এই হেরিটেজ সৌধ থেকে পানি চুঁইয়ে পড়ছে, ফাটল দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবন একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ। শতাব্দী প্রাচীন এই ভবন বহু ইতিহাসের সাক্ষী। কিন্তু সেই ভবনই আর কতদিন রক্ষা করা যাবে, তা নিয়ে এমপিদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।

হাউস অফ কমন্সে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ভবনের বিভিন্ন জায়গা থেকে পানি চুঁইয়ে পড়ছে। বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা গেছে। আগুন লাগলে তা নেভানোর মতো যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই।ফলে, বড় কোনো বিপর্যয় ঘটলে ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। অবিলম্বে এই ভবনের সংস্কার প্রয়োজন বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। সংসদদের বক্তব্য, ভবনটির এখন যা অবস্থা তা সংস্কার করতে বহু অর্থ ব্যয় হবে। কিন্তু আরও সময় ব্যয় করলে খরচ বহু গুণ বেড়ে যাবে।

যা করদাতাদের টাকা থেকেই নিতে হবে। তাছাড়া আর অপেক্ষা করলে ভবনটি সংস্কারের অযোগ্যও হয়ে পড়তে পারে। এখনো পর্যন্ত যা কাজ হয়েছে তা কার্যত ধর তক্তা মার পেরেক গোছের বলে জানিয়েছে পার্লামেন্টের কমিটি। তাতেই সপ্তাহে দুই মিলিয়ন পাউন্ড করে খরচ হয়েছে।ওয়েস্টমিনিস্টার রাজপ্রাসাদটিকেই যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর আগেও এর সংস্কার নিয়ে বার বার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কখনোই সামগ্রিক সংস্কারের ব্যবস্থা হয়নি। আলোচনাও খুব ধীর গতিতে এগিয়েছে।

২০১৮ সালে এমপিরা ভোটাভুটির মাধ্যমে ঠিক করেছিলেন, ২০২০ সালে ভবনটি কিছুদিনের জন্য খালি করে দেওয়া হবে। সে সময় সংস্কারের কাজ করা যাবে। কিন্তু ২০২০ সালে সকলে পার্লামেন্ট ভবন ছেড়ে যেতে চাননি। ফলে সংস্কারও সম্ভব হয়নি।যারা ভবনটি ছেড়ে যেতে চাননি, তারা বার বার বলেছেন, পার্লামেন্ট ঠিকমতো সংস্কার করতে হলে বহু বছর সময় লেগে যাবে। এতদিন ওই ভবন ছেড়ে অন্যত্র পার্লামেন্ট চালানো সম্ভব নয়। ২০১৬ সাল থেকে পার্লামেন্ট ভবনে অন্তত ৪৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

ফলে, এখন ২৪ ঘণ্টা দমকলকর্মীরা ভবনটি পাহারা দেন। ১৮৩৪ সালে অগ্নিকাণ্ডেই নষ্ট হয়েছিল পুরনো ওয়েস্টমিনিস্টার প্রাসাদ। এরপর চার্লস ব্যারি নামক এক স্থপতি নতুন ভবনটি তৈরি করেন। নিও গথিক স্থাপত্যের সেই ভবনই এখন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ