রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের সাত সপ্তাহ ধরে চলা আক্রমণে অন্তত ৫৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ২৬৬ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
গত ৬ আগস্ট ক্রস বর্ডার আক্রমণ শুরু করে কিয়েভ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিই রাশিয়ার ভেতরে সবচেয়ে বড় বিদেশি সেনা হামলা। ইউক্রেনীয় বাহিনী এখনো কুরস্ক অঞ্চলে অবস্থান করছে।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩১ জন বলে জানিয়েছিল রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নতুন সংখ্যায় ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আক্রমণের পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে।
রুশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কুরস্ক অঞ্চলের সবচেয়ে বিপজ্জনক এলাকা থেকে ১ লাখ ৩১ হাজার বেসামরিক মানুষ পালিয়ে গেছেন। তবে ইউক্রেনীয় বাহিনী কিছু বেসামরিক মানুষকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটকে রেখেছে। তাদের মধ্যে সুধা শহরে ৭০-১২০ জন রয়েছে।
এদিকে রয়টার্সের প্রশ্নের জবাবে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিওরহি তিখি বলেছেন, ইউক্রেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলে এবং বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করে না।
তিনি বলেন, রাশিয়ার দীর্ঘদিনের মিথ্যা পরিসংখ্যান এবং অপপ্রচারণার ইতিহাস বিবেচনায় তাদের দাবিগুলো যাচাই করা সম্ভব নয়। যদি রাশিয়া মাঠ পর্যায়ের বাস্তব পরিস্থিতি দেখাতে চায় তাহলে তা করার জন্য জাতিসংঘ ও আইসিআরসিকে অনুমতি দিতে পারে।
রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পক্ষের যুদ্ধক্ষেত্রের প্রতিবেদন যাচাই করতে পারেনি। ৩১ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধের পুরোটা সময় দুই পক্ষই বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ ও অপপ্রচার চালানোর কথা অস্বীকার করে আসছে।