চীনের অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে একটি কয়লা খনি ধসে কমপক্ষে চারজন নিহত, ছয়জন আহত এবং ৪৯ জন নিখোঁজ হয়েছেন। ভূমিধসের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জিনজিং কোল মাইনিং কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত আলক্সা লিগের একটি খোলা-পিট কয়লা খনিতে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ধসের ঘটনা ঘটে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঘটনার পরপরই তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন।শি বলেছেন, ‘নিখোঁজদের উদ্ধার ও আহতদের চিকিৎসার জন্য আমাদের অবশ্যই সম্ভাব্য সব উপায় ব্যবহার করতে হবে।’ তবে বুধবার সন্ধ্যায় ভূমিধসের পর অনুসন্ধান অভিযান স্থগিত করা হয়েছিল এবং বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা পর্যন্ত পুনরায় শুরু হয়নি বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ভূমিধসে নতুন করে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কয়লা চীনের শক্তির অন্যতম উৎস। কিন্তু দেশটির কয়লা খনিগুলো বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক। এর প্রধান কারণ নিরাপত্তা বিধির যথাযথ আনুগত্যের অভাব, যদিও সরকার গত কয়েক বছরে নিরাপত্তার মান উন্নত করার জন্য বারবার নির্দেশনা জারি করেছে।অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ কয়লা খনির অঞ্চল। গত বছর সরকার দাম স্থিতিশীল করার জন্য সরবরাহ বাড়ানোর আহ্বান জানানোর পর থেকে চীনের খনিগুলো আউটপুট বাড়াতে ঠেলে দিয়েছে।
ভূমিধসের আগে চারটি উদ্ধারকারী দলের ১০৯ জন শ্রমিক খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের খুঁজে বের করতে কাজ করছিলেন। উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য কর্তৃপক্ষ আরও ২৩৮ দমকলকর্মী, ৪১টি ফায়ার ট্রাক ও ছয়টি উদ্ধারকারী কুকুর পাঠিয়েছে।প্রায় ২০০ জন কর্মীসহ আরও বেশ কয়েকটি উদ্ধারকারী দল বৃহস্পতিবার সেখানে যোগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং খনি ধসের কারণ সম্পর্কে অবিলম্বে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার চীনের সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ওয়েইবোতে দুর্ঘটনাটি একটি শীর্ষ বিষয় ছিল।
খনিতে নিখোঁজ শ্রমিকদের বেশিরভাগই ডাম্প ট্রাক ও খননকারীর চালক, সেখানকার বেশ কয়েকজন ব্যবহারকারীর মতে। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বুধবার জানিয়েছে, ছয়জন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তারা উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করার জন্য ১৫টি অ্যাম্বুলেন্স ও ৪৫ জন মেডিকেল অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে।