২০২৩ সালের শুরুর দিকে রুশ বাহিনী নতুন করে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে হামলা করতে পারে। এই লক্ষ্যে দুই লাখ সেনা নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্রেমলিন বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি।বৃহস্পতিবার প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্টে প্রকাশিত সাক্ষাৎকার ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ এ দাবি করেন।
জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি বলেন, রাজধানী কিয়েভ আবারও রুশ হামলার লক্ষ্যবস্তু হবে। তিনি বলেন, এখন ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত একটি কাজ হলো রিজার্ভ তৈরি এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা। যা ফেব্রুয়ারিতে সংঘটিত হতে পারে, মার্চে সর্বোত্তম এবং জানুয়ারির শেষে সবচেয়ে খারাপ ভাবে সংঘটিত হতে পারে।’তিনি আরও বলেন, রাশিয়া প্রায় দুই লাখ নতুন সেনা প্রস্তুত করছে। আমার কোনো সন্দেহ নেই যে তারা কিয়েভে আরও হামলা করবে। আমরা সব হিসাব করে ফেলেছি – আমাদের কত ট্যাংক, আর্টিলারি দরকার এবং আরও অনেক কিছু।
গত ৩ ডিসেম্বর প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্টকে সাক্ষাৎকার দেন ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ। প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ২০২৩ সালের শুরুর দিকে রাজধানী কিয়েভে নতুন করে রুশ হামলার আশঙ্কা করছেন তিনি।
জালুঝনির মতে, একের পর এক অপমানজনক ব্যর্থতার পর রাশিয়ান সেনারা গত অক্টোবর মাস থেকে জ্বালানি অবকাঠামোতে বোমাবর্ষণ করছে কারণ আগামী মাসগুলোতে আরও বিস্তৃত পরিসরের আক্রমণের জন্য ‘তাদের সম্পদ সংগ্রহের সময় প্রয়োজন’। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর এই কমান্ডার-ইন-চীফ বলেন, আমি জ্বালানি বিশেষজ্ঞ নই, তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে- আমরা একটি কিনারায় আছি। কারণ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার মাধ্যমে বিদ্যুৎ গ্রিড ধ্বংস করে দেওয়া ‘সম্ভব’ ছিল।