অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ফিলিপ হিউজের দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৪ সালে ঘরোয়া লিগে এক বাউন্সারে মাথায় আঘাত পাওয়ার পর এই দিনে পরপারে পাড়ি জমান হিউজ। তিনি না থাকলেও তার স্মৃতি এখনও জ্বলজ্বলে কোটি ক্রিকেট ভক্তের হৃদয়ে।
নিউ সাউথ ওয়েলসে জন্ম নেয়া হিউজ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৬টি টেস্ট আর ২৫টি ওয়ানডে ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন। ব্যাটিং স্টাইল বাঁহাতি হলেও তাকে সবাই ‘ছোট ডন ব্র্যাডম্যান’ বলে ডাকতো। অজি ক্রিকেটে যেখানে কম বয়সে জাতীয় দলে অভিষেক প্রায় অসম্ভব ছিল, সেখানে মাত্র ২১ বছর বয়সে টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে অনন্য নজির স্থাপন করেছিলেন তিনি। তার ওই সেঞ্চুরি আজও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ড হয়ে আছে।
২৭ নভেম্বর। ক্রিকেটপ্রেমীদের স্মৃতির পাতায় বেদনাদায়ক এক অনূভুতির সাক্ষী হয়ে আছে যে দিনটি। ২৫ বছর বয়সী ফিল হিউজের আকস্মিক বিদায়ে যে মুষড়ে পড়েছিলো ক্রিকেট বিশ্ব। কিন্তু বিদায় কি নিতে পেরেছেন? ফেলে যাওয়া সেই জার্সি কিংবা ব্যাটে হয়তো এখন ধুলোর আস্তর, হয়তো ফ্রেমে বাঁধানো ছবিটা পড়ে আছে দেয়ালের এক কোণে, কিন্তু ক্রিকেট ভক্তদের মনিকোঠায় আজও অমলিন ফিলিপ জোয়েল হিউজ।
কারও হেলমেট কিংবা মাথার কোনো অংশে আঘাত লাগতেই ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে ভেসে আসে হিউজের নাম। মাঝরাতে শন অ্যাবোট হয়তো এখনও স্বপ্নে দেখেন তার করা ১৪০ কিলোমিটারেরও বেশি গতির সেই বলটা, যে বলের আঘাতেই আজ স্মৃতি হয়ে আছেন ফিলিপ হিউজ।
শেফিল্ড শিল্ডে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ৬৩ রানে অপরাজিত হিউজ তখনও কি জানতেন এটিই তার জীবনের শেষ বল! বলটা মাথায় লাগার কয়েক সেকেন্ড পর জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। দ্রুত ছুটে আসেন ফিজিও ও অন্য ক্রিকেটাররা। হেলিকপ্টারে করে উড়িয়ে আনা হয় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। অ্যাম্বুলেন্সে করে নেয়া হয় সেন্ট ভিনসেন্ট হাসপাতালে। অস্ত্রপচারের পর রাখা হয় লাইফ সাপোর্টে। দুইদিন কোমায় থাকার পর না চলে যান না ফেরার দেশে।