শরীরের সব বর্জ্য পদার্থ প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়, ফলে শরীর সুস্থ থাকে। মূত্রনালিকে বলা হয় মানব দেহের নিষ্কাশন ব্যবস্থা। এ কাজে ব্যস্ত থাকে দুটি কিডনি, দুটি মূত্রনালি, একটি মূত্রাশয় ও মূত্রনালি।
মূত্রনালিতে কোনো ধরনের সমস্যা হলে, কিডনি-মূত্রাশয়’সহ সব অঙ্গেই ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। মূত্রনালির বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে ইউটিআই বা প্রস্রাবে সংক্রমণের সমস্যা ছোট-বড় সবার মধ্যেই কমবেশি দেখা দেয়। এটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে ঘটে।ইউটিআই প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের মধ্যে খুবই সাধারণ একটি সমস্যা, তবে এর সঠিক চিকিৎসা করা না হলে বিপজ্জনক হতে পারে। ইউটিআইয়ের কারণে কিডনিতে এমনকি মূত্রাশয়ের সঙ্গে সংযোগকারী টিউবগুলোর সংক্রমণ ঘটে।
ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) এর তথ্যানুসারে, শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন উপায়ে ঘটতে পারে ইউটিআই সংক্রমণ। একটি শিশু যখন টয়লেট শেষে পেছন থেকে সামনের দিকে মুছে দেয়, তখন তাদের ইউটিআইয়ের সংক্রমণ বেড়ে যায়।এর কারণ হলো ব্যাকটেরিয়া মূত্রনালিতে প্রবেশ করে ও মূত্রাশয়, মূত্রনালি ও কিডনি পর্যন্ত তা ভ্রমণ করে ও সংখ্যা বাড়ায়। নবজাতকদের ক্ষেত্রে মল-মূত্রের ছোট কণাগুলো মূত্রনালিতে প্রবেশ করতে পারে। ফলে ইউটিআই সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
১. উচ্চ তাপমাত্রা জ্বর
২. বমি
৩. ক্লান্তি ও শক্তির অভাব (অলসতা)
৪. বিরক্তি
৫. খাওয়ানোতে অসুবিধা
৬. ত্বক হলুদ হয়ে যায়
৭. চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায়
৮. প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালাভাব
৯. ঘন ঘন প্রস্রাব করা
১০. ইচ্ছাকৃতভাবে প্রস্রাব চেপে রাখা
১১. বারবার বিছানা ভেজানো
১২. পেটে ব্যথা
১৩. প্রস্রাবে দুর্গন্ধ
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেস (এনআইডিডিকে) বলেছে, পর্যাপ্ত তরল পান করা, সঠিক নিয়মে বাথরুম ও ডায়াপারের অভ্যাস অনুসরণ করা, ঢিলেঢালা পোশাক পরার মাধ্যমে এই রোগের ঝুঁকি কমানো যায়।শিশুদের মধ্যে ইউটিআই বা মূত্রাশয় সংক্রমণ ব্যাকটেরিয়া মোকাবেলায় অ্যান্টি বায়োটিক, ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করেন চিকিৎসকরা।আপনার শিশু কোন অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করবে তা বয়স, অ্যান্টি বায়োটিকের প্রতি অ্যালার্জি ও যে ধরনের ব্যাকটেরিয়া ইউটিআই ঘটাচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করবেন চিকিৎসকরা।
বাড়িতে এর চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে প্রচুর পানি ও তরল খাবার খাওয়াতে হবে শিশুকে। ব্যথা কমানোর জন্য শিশুর পিঠে বা পেটে হিটিং প্যাড ব্যবহার করতে পারেন।